Labels

Wednesday, May 21, 2014

Custom ROM কি? কেন ও কিভাবে Custom ROM ইন্সটল করবেন?

কাস্টম রম কি তা জানার আগে জানতে হবে ROM এবং Stock ROM সম্পর্কে।
ROM : ROM শব্দটা এখন অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়। আসলে ROM হচ্ছে একধরনের স্টোরেজ। এই স্টোরেজ থেকে ডাটা নেওয়া যায় কিন্তু কোন ডাটা লেখা (write) করা যায় না। এন্ড্রয়েডের জন্য যখন রম শব্দটি ব্যবহৃত হয় তখন সেটা দিয়ে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমকে (Operating System, OS) বোঝায়। আসলে সঠিক শব্দটা হবে Firmware যেমনঃ স্টক ফার্মওয়্যার, কাস্টম ফার্মওয়্যার ইত্যাদি। তবে এখন রম শব্দটিই প্রচলিত।

রম ডিভাইস ভেদে আলাদা। ৯৯% সময় এক ডিভাইসের রম অন্য ডিভাইসে ইন্সটল করা যায় না। করার চেষ্টা করলে ডিভাইস ব্রিক করবে। স্টক ও কাস্টম রম, দুটোর ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য। তবে ডিভাইসের স্পেসিফিকেশনে মিল থাকলে (প্রসেসর স্ট্রাকচার, চিপসেট, রেজুল্যুশন) হয়তো ইন্সটল করা সম্ভব অথবা পোর্ট করে তারপর ইন্সটল করতে হবে।
 Stock ROM : আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইসটি যখন কেনেন তখন এটাতে একটা অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করাই থাকে, আপনার ডিভাইসের ম্যানুফ্যাকচারার/ প্রস্তুতকারক সেটা ইন্সটল করে দিয়েছে। এই প্রি-ইন্সটলড (Pre-installed) অপারেটিং সিস্টেমকে স্টক রম/ ফার্মওয়্যার বলে। এই রমগুলোতে ম্যানুফ্যাকচারার তাদের নিজস্ব কিছু অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে ইন্সটল করে দেয় (এগুলো হচ্ছে ব্লোটওয়্যার, Bloatware) যা সাধারনত আন-ইন্সটল করা যায় না। এছাড়া অনেক ম্যানুফ্যাকচারার মূল এন্ড্রয়েড সোর্স এডিট করে তাদের নিজেদের মত করে ইউজার ইন্টারফেস (User Interface, UI) বানিয়ে ডিভাইস বাজারজাত করে। বেশির ভাগ ম্যানুফ্যাকচারার তাদের স্টক রমের সোর্স কোড রিলিজ করে, যা আপনি ইচ্ছা করলে নামিয়ে এডিট করতে পারে
Custom ROM : কাস্টম রম হচ্ছে স্টক রম বেইজড এক ধরনের কাস্টমাইজড রম। কি ধরনের কাস্টমাইজেশন, পরিবর্তন, বাড়তি সুবিধা থাকবে সেটা ডেভেলপারের উপর নির্ভর করে।
কি কি সুবিধা থাকতে পারে এবং কেন কাস্টম রম ইন্সটল করবেনঃ
১. Update : স্টক ফার্মওয়্যারের চেয়ে কাস্টম রমের আপডেট পাওয়া যায় অনেক তাড়াতাড়ি। যেহেতু অনেক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডেভেলপাররা মিলে কাস্টম রম বানায়, তাই কয়েক সপ্তাহ পর পর নাইটলি বিল্ড রিলিজ করা হয় যাতে নতুন ফিচার যুক্ত করা থাকে।
২. Better Performance : কাস্টম রমে সব ধরনের ব্লোটওয়্যার আন-ইন্সটল করা থাকে। তাই এটা স্টক রমের তুলনায় ফাস্ট হয়, র‍্যামও কম খরচ হয়। এছাড়া অনেক সময় রমের সাথে কাস্টম কার্নেল দেওয়া থাকে যেটা ডিভাইস আরও দ্রুত করতে সাহায্য করে।
৩. Android Version Upgrade : কাস্টম রম ডেভেলপ করার অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে এন্ড্রয়েডের ভার্সন আপগ্রেড করা। অর্থাৎ আপনি কাস্টম রমের মাধ্যমে আইস ক্রিম স্যান্ডুইচ (Ice Crem Sandwich, ICS) থেকে জেলী বিন (Jelly Bean, JB) বা কিটক্যাট (Kitkat) এ আপগ্রেড করতে পারবেন। তবে এটা নির্ভর করে আপনার ডিভাইসের জন্য কেউ আপগ্রেডেড রম রিলিজ করেছে নাকি তার উপর।
৪. Better Software Support : কাস্টম রমে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপের জন্য সাপোর্ট দেওয়া থাকে যা হয়তো আগে স্টক রমে ইন্সটল হত না।
কাস্টম রম ইন্সটলের পদ্ধতিঃ
যেখান থেকে রম ডাউনলোড করবেন সেখানেই ইন্সটলের পদ্ধতি বলে দেওয়ার কথা। বেসিক পদ্ধতি হচ্ছেঃ
  • প্রথমে আপনার ডিভাইস রুট এবং কোন একটা কাস্টম রিকভারি (CWM, TWRP, CTR ইত্যাদি) ইন্সটল করতে হবে।
  • কাস্টম রম ডাউনলোড করে নিন। বেশির ভাগ সময় রম জিপ (.zip) ফরম্যাটে দেওয়া থাকবে। নামানোর পর সেটা মেমোরি কার্ডে রাখুন।
  • রিকভারিতে যান। wipe data, wipe cache, factory reset – এই কাজ গুলো করেন
  • এরপর install zip from sdcard সিলেক্ট করে রমের জিপ ফাইলটি সিলেক্ট করুন
  • রম ইন্সটল শুরু হবে। অপেক্ষা করুন শেষ হওয়ার জন্য। 

No comments :

Post a Comment