CMOS ও BSi সেন্সর কি? এন্ড্রয়েডে কেন?
BSI সেন্সর :
এটার পুরো নাম Back-illuminated sensor। সাধারণ ক্যামেরা লেন্স গুলো চোখের গঠনের আদলে বানানো হয়, কিন্তু এসব লেন্সের বিভিন্নস্থানে আলো প্রতিফলিত হয়ে সেন্সরের কাছে যেতে যেতে অনেক কম পরিমাণে পৌঁছায়, ফলে স্বল্প আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে noise দেখা যায়।
BSI সেন্সরের ক্ষেত্রে এমন গাঠনিক পরিবর্তন আনা হয় যাতে মূল আলোর ৬০%-৯০% পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। (iPhone4 এ এটা ব্যাবহার করা হয়) মূল কথা BSI সেন্সর থাকলে লো লাইটে ভালো ছবি উঠে সাধারণত DSLR ক্যামেরা গুলোতে দুই ধরনের সেন্সর ইউজ করা হয়, CMOS আর CCD। দুইটা ইমেজ সেন্সরের কাজই হল আলোকে ইলেকট্রনে ভাঙ্গা, আবার ওইগুলো লাইন বাই লাইন
এসেম্বলি করিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরা, যেটাকে আমরা ডিজিটাল ছবি বলি। (আরো একটা আছে, Exmos,বেশি জানতে ইচ্ছে হলে গুগল করুন, সুশীল ভার্সনে যুক্ত করবো)
এখন DSLR এর জিনিস স্মার্টফোনে কেন?
CMOS সেন্সরের দাম CCD এর চেয়ে অনেক কম + ১০০ গুণ পাওয়ার কম খরচ করে।
তাই CMOS মোবাইলে ইউজ করা সুবিধাজনক ( Entry level, Beginner level DSLR এ ও CMOS ইউজ করা হয়, যেহেতু দাম কম)। তাছাড়া CMOS সিলিকন চিপ দিয়ে তৈরি, এটাকে সহজেই
তৈরি করা যায়, CCD এর মত এই রেজুলেশন এর ক্যামেরা বানানো যাবে, ওই রেজুলেশন এর যাবে না, এরকম কোন বাঁধা নাই।
CMOS আর CCD এগুলা কি করে?
ক্যামেরা এপ অন করার পর আলো এসে এসব সেন্সরের উপর পরে, এই সেন্সর গুলো কাজ হল
আলোকে ইলেকট্রনে পরিণত করা। ফোকাল লেংথ এর পুরো জায়গা জুড়ে যত আলো থাকে, সব আলোর প্রতিটা আলাদা আলাদা তরঙ্গ দৈঘ্য সেন্সরে আঘাত করে, আর এই সেন্সর প্রতিটার জন্য আলোর তীব্রতা অনুসারে ইলেকট্রন চার্জ দেয়। পুরো সেন্সর যত লক্ষ ভিন্ন ভিন্ন চার্জ দেয়, সেগুলো প্রসেস করে অবশেষে ডিজিটাল ইমেজ আকারে রুপ দেয়, যেটা আমরা স্ক্রিনে দেখি। এখন আপনি বলবেন সব ইমেজ সেন্সরের কাজ তো এটাই। এইখানে হল আসল প্যাঁচ টা, একটা সেন্সর কতটা সুক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে ইলেকট্রন চার্জ টা সনাক্ত করতে পারে সেটাই হল কথা। এখন যদি CMOS ও CCD এর পার্থক্য দেখতে ইচ্ছে হয়, সেটা হল এই ইলেকট্রন চার্জের ব্যাপারটা। CMOS তীব্র
আলোর সমানুপাতিক নির্ভুল চার্জ উৎপন্ন করতে পারলেও স্বল্পআলোতে (Low Light) সামান্য বেকুব হয়ে যায়, ফলে স্বল্প আলোর ছবিতে সামান্য Noise দেখা যায়। অন্যদিকে CCD দুইধাপেই কাজ চমৎকারভাবে করতে পারে (তাইতো মামুর দাম বেশি!) সাধারণ সেন্সর আর CMOS এর সাথে তুলনা করলে CMOS অনেক ভালো, স্বাভাবিক। CMOS এর ওভারল পারফরমেন্স ভালো, হাই কোয়ালিটির পিক দেয়, কিন্তু লো লাইট সেনসেবিলিটি কম। এজন্য CMOS এর সাথে BSI সেন্সর দেয় যাতে লো লাইটে খারাপ না হলেও মোটামুটি মানের পিক দেয়। (যদি ইতোমধ্যে এত প্যাঁচাপ্যাঁচির মধ্যে BSI কি ভুলে যান তাইলে আমার গুস্টি উদ্ধার না করে উপরে স্ক্রল করুন) আসলে এই দুই সেন্সরের কাজই CCD একা করতে পারে, এটা CMOS এর চেয়ে অনেক বেশি নির্ভুল চার্জ রিটার্ন করে+ডিজিটালাইজড করতে স্পেশাল ম্যানুফ্যকচারিং প্রসেস অনুসরণ করে। কিন্তু CCD sensor এর অনেক দাম তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতে এই জিনিস। CMOS-BSI যুক্ত ও CMOS-BSI মুক্ত একটা ছবি দেখেন উপরে অতএব, আপনারা যদি এখনো না বুঝেন আমি কি বুঝাতে চাইসি সেটা হইল উপরের আলুচনা থেকে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, সাধারণ স্মার্টফোন হইতে CMOS ও BSI যুক্ত স্মার্টফোন এর ক্যামেরা সব ধরনের আলোতে অবশ্যই অধিক শক্তিশালী ও
কর্মক্ষম হইবে।
No comments :
Post a Comment